চাঁদণুকাব্য

চাঁদণুকাব্য
::রবিউল করিম::


মাতাল যুগের মাতলামি
ঈমান নিয়াও ফাইযলামি।
চান্দে নাকি দেখতি হবি
সাঈদি মিয়ার ছবি।

বাঁশ বাগানের মাথার উপর
চাঁদ উঠেছে ওই।
মাগো আমার মেশিনওয়ালা
দেলু মিয়া কই।

ভানণুকাব্য


ভানণুকাব্য

::রবিউল করিম::


বলেছ যে যা ই
বাঁধেনি কিছুই
নিজেরে বধির করে রই।
আমি দুর্বল তাই মুখ বুজে সই।

হেঁকেছ অনেক
বুঝেছ খানেক
শেখনি অনেক কিছুই।
আমি জেনেছি; তাই চুপ করে রই।

লিখেছ সরস
জাদুর পরশ
তিলকে তালটা দশাসই।
আমি পাঠক, তাই চোখ বুজে রই।

বুঝিয়েছ ঢের
ঘুরেফিরে ফের
বলনিকো সাঁচা মিছে বৈ।
আমি অবুঝ সাজার ভান করে রই।

রাজাকারাণুকাব্য ১

রাজাকারাণুকাব্য (১ম কিস্তি)


::রবিউল করিম::

কন্ঠ রোধের হুমকি এলেই 'সকল কথা সত্যি' নয়
আউল ফাউল বলতে এলে মুখটি চেপে ধরতে হয়।
জান বাচানো ফরজ যখন অস্ত্র তখন ধরতে হয়,
জালিম যখন জুলুম করে হাতটি কষে রুখতে হয়।

সবাই যদি মিছেও বলে সত্য তবু সাঁচাই রয়,
তুই রাজাকার তুই রাজাকার সবার কিন্তু দাবী নয়।
'লাল পতাকায় বদ্ধ মুঠি' নাস্তিকতার পরিচয়,
বাঁচতে হলে জানতে হবে এই কথাটা মিথ্যা নয়।

গোলাম মওলা এমপি বলেন,'মোল্লা কাদের কসাই নয়,
কাদের মোল্লার এই দাবীটার কাউন্টার সাক্ষী শক্ত নয়'।
যুদ্ধকালীন মোল্লা নাকি ফরিদপুরে দোকান ময়
ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত ছিল, মিরপুরি সে কসাই নয়।

ইউটিউবে দেখল সবাই দেলোয়ার শিকদার সাঈদি নয়,
সাক্ষী যারা বলল তারাও সাঈদি সাবে 'বদর' নয়।
জাফর স্যারের পিতার খুনি সাঈদি সাবে যদি হয়,
স্যারের মায়ের জীবনীতে ওনার নামটা কেন নয়?

রাজাকারের বিচার হবে দেশের লোকে সবাই চায়,
তাই বলে কী একের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া আরের দায়?
ট্রাইব্যুনাল এ বিচার হল কাদের মোল্লার হল রায়,
আশাহত বামের পাতা ডাক দিল সব শাহবাগ আয়।


যাকে তাকে তুই রাজাকার
হালের বুলি বলে যায়,
মিথ্যা কথাও একশ বারে
সত্য বলে প্রকাশ পায়।

শাহেরবাগে জনস্রোতে না গেলে তুই রাজাকার
জয় বাংলা বলবি না তো তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
ধর্মদ্রোহী বলিস যদি তুই রাজাকার তুই রাজাকার
যুদ্ধ বাদে জনম নিলেও জামাত করিস তুই রাজাকার।

কথানুকাব্য ১


'কথানুকাব্য'-১

::রবিউল করিম::


লুল লুলা লুল লুলরে লুল......
ফুটল জিভে কথার ফুল।
উনরা মোদের দেশের মূল,
বলতে কথা বকেন ভুল।
কথার কথা বলেই শূল,
রইল না আর জাতের কূল।
এবার সাধু বুঝবে ভুল,
কান টানিব আসবে চুল;
ভাংবে চুড়ি ছিড়বে দুল,
খাটবে না আর আইন রুল।

দেশের নেতাও মারেন গুল,
করব দুটি পদ্মা পুল।
ক্যান বলিলাম এমন বুল,
কই মিলিবে টাকার কুল।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের খেয়ে হূল,
ভেস্তে গেল পদ্মা পুল।
কী লাভ হল মেরে গুল,
কথার কথাও কন্ঠশূল।
ভুল ভুল ভুল সবই ভুল,
লুল লুলা লুল লুলরে লুল।

মশাণুকাব্য


মশাণুকাব্য

::রবিউল করিম::

ইয়া আইয়্যুহাল মশাউন
লা- তাগুনগুণ
আনা গরীবুন
মা- লিয়া মশারী আও কয়েলুন।

(কয়েল কেনার পর)

হে দুষ্টু মশা
তুই কি কানে ঠসা?
কয়েল পরে ঠিক না বসা,
পড়বে পাছায় ফোসা।

দাঁত কেলিয়ে মশা মামায়
বললে হেঁসে আমায়।
'মশাস্থ্য নিয়ে মাথা ঘামায়
আবার কয়েল জ্বালায়' !!!

'মানব তোকে ধিক শত ধিক
বুঝিনা ঠিক বেঠিক।
নাগালে তোর কানটা এদিক
হিসাব করি সঠিক।'

'গান শুনিবি আজকে রাতে;
ঘুম ভাঙবে প্রাতে।
চুমো দেব কানের ছাতে,
ব্যাথা না পাস যাতে।'

কিন্তু মামা ব্যাথা পেলে
খবর তোমার আছে।
পেটটি তোমার দেব গেলে
নাগাল পেলে পাছে।

মন্ত্রী ও সাংসদানুকাব্য ১


মন্ত্রী ও সাংসদানুকাব্য-১
::রবিউল করিম::

দেশের দশে এথায় সেথায় করছে কানাকানি
মন্ত্রী গণের মুখের কথা হচ্ছে জানাজানি।
গোল টেবিলে সুশীল বসে গিলছে দানা পানি,
বেজায় সুখে খেলছে তারা 'কথা টানাটানি'।
এদিক সেদিক টেনেটুনে টিভির ক্যামরা খানি,
দেশবাসীকে দেখিয়ে দিল কথার বণাবণি।

দেশটি ভরে ছাত্রলীগে করল হানাহানি,
হলে হলে ক্যাম্পাসেতে বাড়ল খুনাখুনি।
পত্র পাতায় জনে জনে তুলল দু'হাত খানি,
ছাত্রলীগের রাশ ধরিতে বলল সবাই টানি।
শেষ বেলাতে না পেরে তাই বঙ্গদেশের রাণী
'ছাত্রলীগের কেউ না আমি'-বলে দিলেন বাণী।

গহর মশায় বললে সেবার ধর্ম আনি টানি,
'মুসলিম ও না, হিন্দু ও না, আমি যে কী জানি?
বলল এবার লোকলজ্জার খেয়ে মাথা খানি,
'তিস্তা চুক্তি না মিলিলেও দিচ্ছে ভারত পানি'!
দেশের খেয়ে ভারতের ক্যান মোষ তাড়াবেন ভানি,
মাথা মোটা বাঙ্গাল হলেও এইটুকু তো জানি !

টাকানুকাব্য ১


টাকানুকাব্য-১
::রবিউল করিম::

তাক ধিনাধিন ধিনাক তা,
এই তোরা সব শুনেই যা।
শুনবি যদি নাচাস পা,
কান দুখানি করবি হাঁ।
চলছে কথা শহর গাঁ,
রক্ষা বুঝি এবার না।
ব্যাংক লকারে মেরে ঘা,
দুহাত খুলে বানিয়ে বা'।
টাকা মেরে চালিয়ে পা,
'হলমার্ক' হয় পাত্তা লা।

কাগজপাতি লাগবে যা,
ঠিক রেখেছে কর্তা রা।
রূপসী ব্রাঞ্চ মে দুদক আ',
দেখল গুজব মিথ্যা না।
মারছে 'তানু' পারছে যা,
হিসাব দিলেন কর্তা টা।
প্রতিমন্ত্রী এলেন সাঁ,
মাঠে নেমেই দুদক হাঁ।
আবুল মালের টাকে তা',
হাজার কোটি টাকাই না!